নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ভারতকে হারিয়ে শক্তিমত্তা দেখালো বাংলাদেশ যুব বাহিনীরা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ মুহূর্তে সাগরিকার গোলে জিতছেন বাঘিনীরা ।
টানা দুই জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যেমন লিগ পর্বে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে বেড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন কোচ সাইফুল বারী টিটু।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে অনেক দিন ধরেই ভারত বড় শক্তির জায়গাটা ধরে রেখেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নারী দলের সাফের মূল আসর ছাড়া অন্য বয়সভিত্তিক খেলায় সাফল্য পাওয়ায় তাদের আধিপত্য কিছুটা হলেও খর্ব হয়েছে।
যদিও প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তেমন সুবিধা করতে পারেনি। ভারত হাইলাইন ডিফেন্স খেলে আধিপত্য দেখানোর চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশ কোচ টিটু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুরুতে ম্যাচ কঠিন ছিল। ওদের ফরোয়ার্ড লাইনে চার জন খুবই দ্রুতগতির খেলোয়াড় ভালো খেলেছে। বিশেষ করে ৯ নম্বর জার্সিধারী নেহা। আমাদের মাঝমাঠে, বিশেষ করে হোল্ডিং পজিশনে দ্বিতীয় বলগুলোতে যেতে পারছিল না। যার কারণে একজনকে দিয়ে বারবার আক্রমণ শানাচ্ছিল। ওখানে ম্যাচে ফেরার বিষয়টি একপর্যায়ে মেয়েরাই করেছে। আমার মনে হয় শুরুর ওই চাপটাই মেয়েদের পাজল করে দিয়েছিল।’
বিরতির পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। ভারতের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে। শেষ দিকে সাগরিকার দারুণ এক গোলে জয়ও ছিনিয়ে আনে।
দ্বিতীয়ার্ধের পরিকল্পনা নিয়ে টিটু ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘ভারতীয় দলে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলোয়াড় বেশি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের মাঝমাঠে ওই হোল্ডিং পজিশন ধরার দরকার ছিল। বারবার দ্বিতীয় পাসটা যেন ওরা না পায়। এ কারণেই রুমা আক্তারকে বদলি নামিয়েছিলাম, ও বল পায়ে রাখতে পারে। ও নামার পর কিছুটা ভারসাম্য এসেছিল আমাদের খেলায়।’
তবে এই সময়ে ভারতের ক্লান্তিকে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। টিটুর ভাষ্য, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ওরা আস্তে আস্তে একসময় গিয়ে ক্লান্ত হয়েছে। তখন আমাদের মেয়েরা সেই সুযোগটা নিয়েছে। আমি বলবো, মুনকি আক্তার চমৎকার একজন খেলোয়াড়। ও আর সাগরিকা মিলে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। তখন মেয়েদের বলেছি, একটু ডিরেক্ট পাস খেলতে। তাতেই শেষ দিকে সফলতা এসেছে।’
তবে এখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না কোচ। ফাইনাল জিতেই উৎসব করতে চাইছেন, ‘জয়ের উদযাপন করতে নিষেধ করেছি। মেয়েদের বলেছি, এটা তো রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচ, ফাইনাল তো বাকি আছে। সব মিলিয়ে মেয়েরা খুশি। ওদের একটু আত্মবিশ্বাসেরও দরকার ছিল। তবে মেয়েদের মানসিকভাবে চাপ ছিল, ভারত আসলেই ভালো দল! ওটা থেকে বের হয়ে আসার দরকার ছিল। সেটা পারায় আত্মবিশ্বাস বাড়বে মেয়েদের।’
মঙ্গলবার ভারত ও নেপাল ম্যাচের বিজয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।