রূপসী বাংলা ২৪

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
পরিবেশ ও জলবায়ু

পলিথিন ব্যবহারে ৪ হাজার মামলা: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে ২০১৯ সালের  জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ২০৭টি মামলায় ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

জনসচেতনতা বাড়াতে নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সারা দেশের কঠিন বর্জ্যের সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে সরকার ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে।
সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে  হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ২১ জুন ২০২১ তারিখে উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলাকে কোস্টাল এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে ওই এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ৩ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় সরকার ইতোমধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এ বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পলিথিন বন্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় জুলাই ২০১০ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানাসমূহ উচ্ছেদ বা কারখানার মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন

পরিবেশ ও জলবায়ু

বাংলাদেশে ১৫.৫৮ ভাগ এলাকায় বনভূমি রয়েছে

  • ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক
পরিবেশ ও জলবায়ু

পলিথিন ব্যবহারে ৪ হাজার মামলা: পরিবেশমন্ত্রী

  • ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে