নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: দশম বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ‘দুর্দান্ত ঢাকা’ পেলো দুরন্ত জয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেশী ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেই উদ্বোধনী ম্যাচে জয় পেয়েছে ‘দুর্দান্ত ঢাকা’।
আগে বোলিং করা ঢাকার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন দেশের তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। পরে তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ শুরুতে ও শেষে ইরফান শুক্কুর শেষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। সব মিলিয়ে জয়ে বিপিএল শুরু হলো ঢাকার।
জিততে ১৪৪ রানের টার্গেট ছিল ঢাকার সামনে। মনে করা হচ্ছিল, মিরপুরের পিচে কুমিল্লার শক্ত বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কাজটা সহজ হবে না। ঢাকার একাদশে ভালো ব্যাটারও নেই।
তবে লংকান তারকা ধানুশকা গুনাথিলাকাকে সঙ্গে নিয়ে তরুণ নাঈম হাসান শুরুটা করেন দুর্দান্ত। দুই ছয়, এক চারে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকে ১৯ রান তুলে নেন নাঈম। নাঈম ঢাকাকে এগিয়ে নিয়েছেন অনেকটা।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঢাকার প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ৫২ রান করেছেন নাঈম। তার ইনিংসে তিনটি চার, তিনটি ছয়। এরপর ধানুশকা গুনাথিলাকা ও লাথিস ক্রসপুলকে দ্রুত হারিয়েছে ঢাকা। দারুণ খেলতে থাকা গুনাথিলাকা ৪২ বলে ৪১ রান করে ফিরেছেন।
পাঁচে নেমে সাইফ হাসানও সুবিধা করতে পারেননি। তবে শেষ দিকে ইরফান শুক্কুরের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে ঢাকা।
৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ইরফান শুক্কুর শেষ দিকে ১৫ বলে ১টি চার ২টি ছয়ে ২৪ রান করেছেন। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানভির ইসলাম।
এর আগে কুমিল্লা দেড়শর কাছাকাছি গেছে মূলত ইমরুল কায়েস ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নতুন দল দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
বোলিংয়ে ঢাকার শুরুটা বেশ প্রত্যাশিতই হয়েছিল। কুমিল্লার ইনিংস ওপেন করতে নামা দলটির অধিনায়ক লিটন দাসকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন ঢাকার শ্রীলংকান স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১৬ বলে ১৩ রান করে ফেরেন লিটন। তবে এরপর আর উইকেট পাচ্ছিল না ঢাকা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমে গিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও তৌহিদ হৃদয়। অবশ্য এই দুজন অনেকক্ষণ ব্যাটিং করলেও স্ট্রাইকরেট ১২০ এর ঘর পার করতে পারেননি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৭ বল খেলে ১০৭ রান তুলেছেন দুজন।
এই জুটি ভাঙতেই রীতিমতো মড়ক লাগে কুমিল্লার ইনিংসে। ৪১ বলে ১টি চার ২টি ছয়ে ৪৭ রান করে ফেরেন হৃদয়। খানিক বাদে ইমরুল কায়েস ফিরেছেন ৫৬ বল খেলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৬৬ রান করে।
চারে নেমে খুশদিল শাহ ৫ বলে ১৩ রানের একটা ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন বটে। তবে ইনিংসের শেষ তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে শেষের আলো কেড়ে নিয়েছেন ঢাকার পেসার শরিফুল। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ২৭ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। ঢাকার অপর পেসার তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।