বার্তাকক্ষ
মায়ানমার: মায়ানমার রাখাইন শহর দখলে নিয়েছে সরকারি বিরোধী বিদ্রোহীরা। এরপর প্রাণ বাঁচাতে সামরিক শাসকদের পৌনে ৩শ’ সেনা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর থেকে ভারতে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ২৭৬ জন সেনা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মিজোরাম-মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বন্দুকবাংসোরা গ্রামে পৌঁছায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আসাম রাইফেলস আধাসামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার জান্তাদের আমাদের ক্যাম্পে আশ্রয় দিয়েছি। আগত সৈন্যদের তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, আমাদের ইউনিট জান্তাদের কাছ থেকে বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করছে এবং তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমোদন চেয়েছে।
জানা গেছে, সংঘর্ষ থেকে পিছু হটে পালিয়ে ভারতে যাওয়া সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের দুটি সামরিক বিমান মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী আইজলে পৌঁছেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আরও শত শত মিয়ানমারের সৈন্য ভারতে পালিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে আরাকান আর্মি (এএ) কর্তৃক নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণের পর থেকে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে যুদ্ধ থেকে বাঁচতে শত শত মিয়ানমারের সৈন্য ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে আরাকান আর্মি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত বরাবর পালেতওয়া প্রধান শহর এবং ছয়টি সামরিক ঘাঁটি দখল করে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, আ’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি-এই তিন সশস্ত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ গত অক্টোবরের শেষের দিকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ১০২৭’ নামের একটি অভিযান চালায়। এই অভিযানের পর মিয়ানমারের সীমান্তগুলো একের পর এক জান্তার হাতছাড়া হতে থাকে।